Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
কেএমপি’র লবণচরা থানার একটি চৌকস টিম কর্তৃক স্বর্ণের বার উদ্ধারপূর্বক গ্রেফতার ১
বিস্তারিত

লবণচরা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১২-৩২৬৪) একজন ব্যক্তি সন্দেহজনক কোন বস্তু বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। অতঃপর রূপসা ব্রীজ হতে জিরো পয়েন্টগামী মহাসড়কের সাচিবুনিয়া বিশ্বরোড মোড়স্থ মেসার্স সালমান ভ্যারাইটিস ষ্টোর এর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর ইমাদ পরিবহন থামিয়ে কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব এ.জেড.এম তৈমুর রহমান; সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) জনাব গোপীনাথ কানজিলাল; লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মমতাজুল হক এবং এসআই(নি:) প্রদীপ বৈদ্য-সহ সঙ্গীয় ফোর্স, উপস্থিত বাসযাত্রী, সাংবাদিক ও স্থানীয় জনগণের সম্মুখে বাসটি তল্লাশি করা হয়। এ সময় ঢাকা থেকে সাতক্ষীরা গামী ইমাদ পরিবহনের বিভিন্ন স্থান এবং যাত্রীদের চেক করাকালে মোঃ আবু কালাম(২৪), পিতা-মৃত: নয়ন খান, পালিত পিতা-মোঃ আলী আহমেদ, মাতা-খাইরুন নেছা, পালিত মাতা-আশুরা বেগম, সাং-রামনগর লক্ষীপুর, থানা-বোয়ালমারী, জেলা-ফরিদপুর, এপি সাং-আইজিগেট পোস্তগোলা, থানা-সুত্রাপুর, জেলা-ঢাকা নামক এক ব্যক্তির আচরণ ও কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হয়। অতঃপর উপস্থিত বাসযাত্রী, সাংবাদিক ও জনগণের সম্মুখে প্রকাশ্যে দেহ তল্লাশীকালে এক পর্যায়ে মোঃ আবু কালামের স্বীকারোক্তি মতে তার দুই পায়ে পরিহিত জুতার ভিতরে সুকৌশলে সাজিয়ে রাখা (৫+২)=০৭ (সাত) পিস স্বর্ণের বার, যার ওজন ৭৩৮.৫০ (সাতশত আটত্রিশ দশমিক পঞ্চাশ) গ্রাম, যার সর্বমোট মূল্য অনুমান ৭০,০০,০০০/-(সত্তর লক্ষ) টাকা উদ্ধারপূর্বক উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত গ্রেফতারকৃত স্বর্ণ চোরা চালানকারী মোঃ আবু কালামকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জানা যায় সে দীর্ঘদিন যাবৎ এই রুটে স্বর্ণ পাচারের সাথে জড়িত। এর পূর্বেও সে এই রুট ব্যবহার করে স্বর্ণের চালান পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করেছে। উল্লেখ্য যে, আজকেও ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে স্বর্ণের বার বাসযোগে সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো এবং সেখান থেকে স্বর্ণ সাতক্ষীরা বর্ডার অঞ্চল দিয়ে ভারতে পাচার করার উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। উল্লেখিত স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে আরও কে কে জড়িত আছে এবং কোথা থেকে স্বর্ণগুলো আনা হয়েছে ও কোথায় পৌঁছে দিবে সেই রহস্য উদঘাটনের জন্য গভীরভাবে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ঢাকা ও সাতক্ষীরা প্রান্তের আরও কিছু সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারির নাম খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের হস্তগত হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত স্বর্ণ চোরা চালানকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন ও তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

ছবি
ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
02/05/2024
আর্কাইভ তারিখ
31/05/2024